খেলা শেষে জানা গেলো সাকিবের দেরিতে বোলিংয়ে আসার আসল কারন

 

তৃতীয় সেশনে নিজের প্রথম স্পেল করতে এসেছেন সাকিব আল হাসান—এটা টেস্টে আগে কখনো দেখা গেছে কি? চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে এই দৃশ্যই দেখা গেল। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে সাকিব প্রথম বল হাতে নেন। তবে ৮ ওভার বোলিং করেও উইকেটশূন্য থেকে ৫০ রান দিয়ে তিনি ছিলেন কিছুটা খরুচে।

হাসান মাহমুদের দাপটে দিনটি দুই সেশনে বাংলাদেশের জন্য ছিল কার্যত দখলে। ভারতীয় ব্যাটাররা খুব একটা দাঁড়াতে না পারলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সাকিবের হাতে বল তুলে দেননি। দিন শেষে হাসান বলেন, “শুরুতে ফাস্ট বোলাররা ভালো করছে, উইকেট পড়ছে। তাই স্পিনাররা দেরিতে এসেছে।”

দিনে ভারত যে ৬ উইকেট হারিয়েছে, তার মধ্যে ৫টি পেসারদের। হাসান চারটি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশ তিনটি করে উইকেট পেলেও শেষ সেশনে রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সপ্তম উইকেটে রেকর্ড গড়া জুটিতে ভারত স্বস্তি ফিরে পায়। শুরুর মোমেন্টাম ধরে রাখতে না পারায় হাসানের মনে এক আক্ষেপ ছিল।

কিন্তু আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে আজকের শুরুর পুনরাবৃত্তি করতে পারলে ভালো কিছু হবে বলেই মনে করেন তিনি। “আমার মনে হয়, বোলিংটা আরও ইকোনমিকাল ও গোছানো হতে পারত। সবাই মিলে ভালো জায়গায় বোলিং করে ব্যাটারদের চাপে রাখতে চেষ্টা করছি। এখন ওদের দিকে যে মোমেন্টাম আছে, কাল দ্রুত কিছু ব্রেক করতে পারলে হয়তো সেটা আমাদের দিকে ফিরবে।”

ভারত ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে ৩৩৯ রান নিয়ে। দিন শেষে হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “টেস্ট ম্যাচে উইকেট পাওয়া আনন্দদায়ক। পাকিস্তানের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। দলে যতটা অবদান রাখতে পারি, নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সকাল থেকে ডমিনেট করছিলাম। তবে উইকেট এখন খুব ভালো। বোলাররা চেষ্টা করছে রান কমিয়ে বল করতে। শুরুর ছন্দটা আমাদের দিকে ছিল, কিন্তু এখন তা শিফট হয়ে গেছে। ক্রিকেটে কিছুই সম্ভব। কাল আমাদের দিকে ফিরে আসতে পারে।”

ভারতকে কত রানের মধ্যে আটকাতে চান—এ প্রশ্নের উত্তরে হাসান বলেন, “অবশ্যই ৪০০ রানের আগে আটকাতে পারলে ভালো হবে। এখন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে গেছে। চেষ্টা করছি চাপ তৈরি করার।”