৪র্থ ব্যাটার হিসেবে লজ্জার ইতিহাস গড়লেন জাকির হাসান

 রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করেন আকাশ দীপ। সাদমান ইসলামের সামনের পায়ে বল লাগলেও তিনি লাফিয়ে ওঠেন। আকাশ দীপ জোরালো আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। এরপর তিনি রিভিউ নেওয়ার ইঙ্গিত দেন, এবং বোলারের দাবির ভিত্তিতে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা রিভিউ নেন। প্রথমে মনে হচ্ছিল, বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা গেল, বল লেগ স্টাম্পে আঘাত করত। আউটের সিদ্ধান্তের পর রোহিতের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো—যেন তিনিও অবাক হয়েছেন। সাদমান ভালো শুরু করেও ৩৬ বলে ২৪ রানে আউট হন।

১৭তম ওভারে আকাশ দীপকে স্কয়ার কাটে চার মেরে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহকে ৫০-এর ঘর অতিক্রম করান মুমিনুল হক। তিনি ৬ রানে এবং অন্যপ্রান্তে নাজমুল হোসেন ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

কানপুরে আবারও মেঘলা আবহাওয়া ফিরে আসে, ফলে আলোর স্বল্পতার কারণে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট চালু করতে হয়।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৫১ রান সংগ্রহ করে।

জাকির হাসান ২৪ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। আকাশ দীপ রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে তৃতীয় স্লিপে যশস্বী জয়সোয়ালের হাতে ক্যাচ বানান। প্রথমে ক্যাচটি স্পষ্ট বোঝা না গেলেও, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় যে যশস্বী বৈধভাবেই ক্যাচটি ধরেছেন।

জাকির টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়া চতুর্থ খেলোয়াড়। এর আগে ২০০২ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মনজুরুল ইসলাম ৪১ বল, ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে রাজিন সালেহ ২৯ বল এবং ২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফতাব আহমেদ ২৫ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন জাকির, ২৪ বলে শূন্য রানে আউট হওয়ার জন্য।

টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের জিওফ অ্যালটের। তিনি ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।

টসে হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা মেঘলা আবহাওয়া এবং পিচের কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, ভারত তিন পেসার খেলাচ্ছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, "ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো মনে হচ্ছে।" বাংলাদেশ দল দুটি পরিবর্তন এনেছে—নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলছেন তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশ তিন স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে খেলছে।

### ভারতের একাদশ:

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।

### বাংলাদেশের একাদশ:

জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।